December 22, 2024, 11:02 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
সারাদেশে ৬১টি জেলা পরিষদ (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতিত) নির্বাচনে মোট ভোটার ৬৩ হাজার ১৫৯ জন। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৯২৩ ও পুরুষ ৪৮ হাজার ২৩৬ জন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার তৈরি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদ ৪৬৩টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদ ১৭২টি। চেয়ারম্যান পদ রয়েছে ৬১টি। ৪৭৭টি ভোটকেন্দ্রের ৯৫৫টি ভোটকক্ষে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ১৬২ জন। বাছাই শেষে বৈধতা পান ১৪২ জন। সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৯৮৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে বৈধতা পান এক হাজার ৭৪৪ জন। আর সংরক্ষিত সদস্য পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ৭১৫ জন। এর মধ্যে বৈধতা পান ৬৭৫ জন।
পরে আপিল নিষ্পত্তি ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার এবং হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালন শেষে চেয়ারম্যান পদে ৯৬ জন, সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৫১৩ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬২২ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ২৬টি জেলার চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আদালতের আদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাচনী সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে কমিশন। নোয়াখালীতে চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থীর নাম যোগ হয়েছে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৬৬ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফেনী জেলা পরিষদ নির্বাচনের সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
তফসিল অনুযায়ী, জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর। নির্দলীয় এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
আগের আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সদস্যরাই জেলা পরিষদ সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতেন। অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলর বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করতেন।
কিন্তু সংশোধিত আইনে জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলার সংখ্যার সমান। আর নারী সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা চেয়ারম্যানদের মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ, তবে দুইজনের কম নয়। অর্থাৎ একেক জেলা পরিষদের সদস্যের সংখ্যা হবে একেক রকম, সংশোধনের আগে যেটা ২১ জন নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল।
আগের আইন অনুযায়ী, পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও পরের নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আগের পরিষদই দায়িত্ব পালন করত। সংশোধিত আইনে এর পরিবর্তে প্রশাসক বসানোর বিধান আনা হয়েছে। সেই ক্ষমতাবলেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রশাসক বসানোর আদেশ জারি করে।
Leave a Reply